অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : গাজায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা এবং এক সৈন্য নিহত হয়েছেন। অবরুদ্ধ এই উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে ঝোড়ো আবহাওয়ার কারণে একটি ক্রেনধসে পড়ায় ওই দুই সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরও ৮ সেনা সদস্য আহত হয়েছেন। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর আল জাজিরার।
ইসরায়েলের প্রচারমাধ্যম কান এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তীব্র ঝোড়ো বাতাসের কারণে একটি তাবুঁর ওপর একটি ক্রেনধসে পড়ে। সে সময় ওই তাঁবুর মধ্যে বেশ কয়েকজন সেনা সদস্য অবস্থান করছিলেন। ইসরায়েলি বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে, এই ঘটনা তদন্ত হচ্ছে।
গাজায় এক বছরের বেশি সময় ধরে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানে বর্তমানে যুদ্ধবিরতি চলছে। তবে পুরো গাজায় এখন ধ্বংসস্তূপ ছাড়া আর কিছুই চোখে পড়বে না। যেখানেই চোখ যায় সেখানেই ধসে পড়া বাড়ি-ঘর আর হত্যাযজ্ঞের চিহ্ন চোখে পড়ে।
এদিকে গাজা উপত্যকা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে নিয়ে অবরুদ্ধ এই উপত্যকাকে ‘দখলের’ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এমন বক্তব্যের পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ফক্স নিউজকে বলেছেন, ট্রাম্পের এই ‘উল্লেখযোগ্য’ পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত।
তবে ট্রাম্পের এমন প্রস্তাব নিয়ে বিশ্বজুড়েই নিন্দার ঝড় উঠেছে। সৌদি আরব, চীন, রাশিয়া, স্পেনসহ বিশ্বের বহু দেশ ও সংগঠন এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে। গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনিরা বলছেন, যাই হোক না কেন, আমরা গাজা ছেড়ে যাব না।
জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলি দূত ড্যানি ড্যানন বলেছেন, তার দেশ যুক্তরাষ্ট্রের পাশে থাকবে। তারা ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে অংশ নেবে না।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ বলেছেন, মার্কিন সামরিক বাহিনী গাজায় ‘সকল বিকল্পের জন্য প্রস্তুত’ রয়েছে। এদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রে সফর করছেন। এরই মধ্যে তিনি মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদরদপ্তর পরিদর্শন করেছেন। এই সফরে তিনি হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ এবং সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে ঘনিষ্ট মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
Leave a Reply